কৃষিজীবীদের জন্য সুসংবাদ বৈকি। ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হওয়ার দিন ফুরিয়ে আসছে। আর ভোগান্তির মাশুল গুনতে গুনতে জীবন পার করে দিতে হবে না। প্রযুক্তির কল্যাণ এখন কৃষকের কল্যাণে যুক্ত হয়ে কৃষিজীবী মানুষের জীবনে নতুন দিগন্তের উন্মোচন ঘটাতে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে মধ্যস্বত্বভোগীর দৌরাত্ম্য ঠেকাতে এবার ডিজিটাল পদ্ধতিতে শস্য সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কৃষকদের ন্যায্য পাওনা প্রাপ্তি ও ভোগান্তি দূর করতে খাদ্যশস্য সংগ্রহ ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হতে যাচ্ছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের কারিগরি সহায়তায় কৃষকদের সুবিধার জন্য এ পদ্ধতি চালু করা হচ্ছে, যাতে কৃষকরা পণ্যের ন্যায্যমূল্য যেমন পাবে, তেমনি দেখা মিলবে না আর মধ্যস্বত্বভোগী শোষকদের। প্রতারিত হবে না আর কৃষক। কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়াই সরাসরি কৃষক তার উৎপাদিত ধান ও চাল সরকারের কাছে বিক্রি করতে পারবে। মিল মালিক ও কৃষক মোবাইলে ধান-চালের চাহিদা, সরবরাহের তারিখ খুদে বার্তার মাধ্যমে জেনে যাবে।
সাধারণ কৃষক যেন আঙ্গুলের ছোঁয়ায় সরকারী সেবা পেতে পারে, সে লক্ষ্যকে সামনে
রেখে 'খাদ্যশস্য সংগ্রহ ব্যবস্থাপনা সিস্টেম‘ ই-সেবার অংশ হিসেবে 'কৃষকের অ্যাপ'
নামে একটি স্মার্টফোনে ব্যবহারোপযোগী অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার তৈরী করা হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য ফিচারঃ
> বর্তমান মৌসুমও ধানের বিনির্দেশ মান সংক্রান্ত তথ্য জানা
> ধান বিক্রয়ের আবেদন করা ও আবেদনের অবস্থা যাচাই করা
> হয়রানির সম্মুখীন হলে অভিযোগ দাখিলের ব্যবস্থা
সুবিধা সমূহঃ
> স্বল্প সময়ে ,কম খরচে এবং ন্যূনতম সংখ্যক ভিজিটে ধান বিক্রয়য়ের ক্ষেত্রে সরকারি সেবা প্রাপ্তি
> ধান বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কৃষকের হয়রানি কমানো
> অ্যাপ /SMS এর মাধ্যমে তাৎক্ষনিক ভাবে নিবন্ধন অনুমোদন, বিক্রয়ের আবেদন অনুমোদন, বরাদ্দাদেশ জারী, WQSC প্রভৃতি সম্পর্কে অবহিত হওয়া
আপডেট করা হয়েছে
৩ ডিসে, ২০২৪