একাত্তরের সাতসতেরো

· Boierhut Publications
4.5
2 reviews
Ebook
231
Pages
Eligible

About this ebook

এ গল্পটা আমি "আমার একাত্তর" নামে আমার গুগল ব্লগে প্রকাশ করতে শুরু করি। তখন থেকেই এক ধরনের অস্বস্তি বোধ করছিলাম নামটা নিয়ে। কারণ, একাত্তরে আমার বয়েস ছিল মাত্র সাত বছর আর সাত বছরের এক শিশুর "আমার একাত্তর" বলাটা এক ধরনের দুঃসাহস। কথাটা বলার জন্য একাত্তরকে যেভাবে ধারণ করতে হয় সেভাবে আমি কতটুকু পেরেছি, সে এক বিশাল প্রশ্ন। একাত্তরকে শুধু ধারণ করাই নয়, "আমার একাত্তর" বলার জন্য নিজের রক্ত, ঘাম, বুদ্ধি, সাহস দিয়ে ইতিহাস গড়তে হয়, আর যাই হোক অন্ততঃ বয়েসের কারণে হলেও আমার পক্ষে সেটা সম্ভব ছিল না। তাই আমার মনে হয় "আমার একাত্তর" বলার ধৃষ্টতা না দেখানোই ভাল। তাছাড়া লেখাটার পাণ্ডুলিপি যখন কাকুকে মানে দ্বিজেন শর্মাকে দেখাই, উনিও বলেন নামটা পরিবর্তন করতে, কেন না এই নামে অনেকেরই একাত্তরের স্মৃতিচারণ আছে। উনি নিজে পাণ্ডুলিপির উপর লিখে দিয়েছিলেন "খোকাবাবুর একাত্তর"। তবে সে নামটাও টেকে নি, কেন না আমাদের বাড়িতে "খোকা" নামে পরিচিত ছিলেন আমার ছোট কাকা। বাবা আর জ্যাঠামশায় ছোট কাকাকে খোকা নামে ডাকতেন। তখন থেকেই শুরু নতুন নাম খোঁজা। ছেলেবেলার একাত্তর বা একাত্তরে ছেলেবেলা – এরকম নাম মনে আসতে থাকে। তবে সমস্যার সমাধান করে স্মিতা আর সুমিত। ওদের থেকেই প্রস্তাব আসে গল্পের নামটা "একাত্তরের সাতসতেরো" দেবার। এতে একাত্তর যেমন আছে, তেমনি আছে আমার সাত বছর বয়েস আর এই দুহাজার সতেরো, যখন আমি গল্পটা শেষ করলাম। সংখ্যাতত্ত্ব আমার প্রিয় বিষয়গুলোর একটা – সেদিক থেকে ৭১-৭-১৭ যেমন মনে ধরে, তেমনি ভাবে সাতসতেরো, মানে একাত্তরের এক শিশুর জীবনের খুঁটিনাটি গল্প।

Ratings and reviews

4.5
2 reviews
Sanjib Basu
September 18, 2021
বেশ ভালো লাগলো সবটা পড়ে।
Did you find this helpful?

About the author

বিজন সাহার জন্ম বাংলাদেশের মানিকগঞ্জ জেলার তরা গ্রামে ১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর যদিও প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষকের কলমের খোঁচায় সেটা ২ জানুয়ারি হয়ে গেছে। পড়াশুনার শুরু তরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বানিয়াজুরী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে স্কুল জীবন শেষ করেন ১৯৮০ সালে। মানিকগঞ্জ সরকারী দেবেন্দ্র কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১৯৮২ সালে। তখন থেকেই বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, খেলাঘরসহ বিভিন্ন প্রগতিশীল আন্দোলনের সাথে জড়িত হন। ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির মাধ্যমে সোভিয়েত সরকারের বৃত্তি নিয়ে রাশিয়ায় যান উচ্চ শিক্ষা লাভ করতে। মস্কোর গণ মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৯ সালে সম্মানসহ মাস্টার্স (M.Sc.) শেষ করেন তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যায়। সেখান থেকেই ১৯৯৩ সালে পিএইচডি (Ph.D.) থিসিস ডিফেন্ড করেন। ১৯৯৪ সালে যোগ দেন মস্কোর অদূরে দুবনা শহরে জয়েন্ট ইনস্টিটিউট ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চে। ১৯৯৪ থেকে ৫ বছর ল্যাবরেটরি অফ থিওরেটিক্যাল ফিজিক্সে কাজ করার পর ১৯৯৯ সালে যোগ দেন ল্যাবরেটরি অফ ইনফরমেশন টেকনোলোজিতে। ২০০৯ সালে কসমোলজির উপর ডিএসসি (D.Sc.) থিসিস ডিফেন্ড করেন। বিভিন্ন সময়ে গণমৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে ও দুবনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। বর্তমানে দুবনার জয়েন্ট ইন্সটিটিউট ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চে লিড রিসার্চ হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি বিজন সাহা মস্কোস্থ রাশিয়ান গণমৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট ফর ফিজিক্যাল রিসার্চ অ্যান্ড টেকনোলোজিতে শিক্ষকতার কাজে নিয়োজিত আছেন। কোয়ান্টাম মেকানিক্স, ইলেক্ট্রোডাইনামিক্স, থিওরি অফ গ্র্যাভিটি নিয়ে বিভিন্ন সময় কাজ করলেও কসমোলজি নিয়েই তাঁর মূল কাজ। এখন পর্যন্ত এসব বিষয়ে ১৮০ এর বেশি রিসার্চ পেপার লিখেছেন যার মধ্যে শতাধিক আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জার্নালে (http://spinor.bijansaha.ru)। গবেষণার বাইরেও ফটোগ্রাফি নিয়ে কাজ করেন। এ পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে ১০ টি একক ছবি প্রদর্শনী করেছেন, অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন যৌথ প্রদর্শনীতে। (http://bijansaha.ru) । লেখালেখিও তাঁর আর এক নেশা। লেখেন বিভিন্ন বিষয়ে। রাজনীতি, সমাজ, ইতিহাস ইত্যাদি বিজনের প্রিয় বিষয়। (https://www.blogger.com/profile/13796885981186443293)

Rate this ebook

Tell us what you think.

Reading information

Smartphones and tablets
Install the Google Play Books app for Android and iPad/iPhone. It syncs automatically with your account and allows you to read online or offline wherever you are.
Laptops and computers
You can listen to audiobooks purchased on Google Play using your computer's web browser.
eReaders and other devices
To read on e-ink devices like Kobo eReaders, you'll need to download a file and transfer it to your device. Follow the detailed Help Center instructions to transfer the files to supported eReaders.