বাংলা সাহিত্যে বিশিষ্ট ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক মীর মশাররফ হোসেনের কারবালার বিষাদময় ঘটনা নিয়ে উপন্যাস "বিষাদসিন্ধু" তাঁর " বিষাদ-সিন্ধুর মূল বিষয়বস্ত্ত হচ্ছে- হযরত সা (সা.) - এর প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হোসেনের মৃত্যুর জন্য দায়ী দায়ী ঘটনাসমূহ অবশ্য ইমাম হোসেনের মৃত্যুর ফলে যে সকল ঘটনা ঘটেছিল তারও বর্ণনা রয়েছে এ এ। বিষাদ-সিন্ধু উপন্যাসের প্রধান চরিত্রগুলির সন্ধান ইতিহাসে পাওয়া যায়, কিন্তু কোনো কোনো অপ্রধান চরিত্রের উল্লেখ বা সন্ধান ঐতিহাসিক কোনো গ্রন্থে পাওয়া যায় না। কিন্তু গবেষকের'- 'যেহেতু ইতিহাসের ওপর ভিত্তি করেই এই গ্রন্থ হয়েছে, সুতরাং এটিকে ঐতিহাসিক উপন্যাস বলা।' এতে একই সঙ্গে চরিত্রচিত্রণ, মানবজীবনের দুঃখ-যন্ত্রণা, হিংসা-বিদ্বেষ ইত্যাদি যেমন চিত্রিত হয়েছে তেমনি ইতিহাসের পটভূমিকায় দ্বন্দ্ব সংগ্রাম, সংগ্রাম, রক্তপাত, হত্যাকান্ড ইত্যাদি বর্ণিত হয়েছে হয়েছে সারকথা বিষাদ-সিন্ধুতে বর্ণিত ইতিহাসের চরিত্র ও ইতিহাসের লক্ষণকে প্রত্যক্ষ করে করে একে একে উপন্যাসের মর্যাদা দিতে দ্বিধা করেননি। তবে এতে এমন কিছু ঘটনার উল্লেখ আছে যেগুলো ইতিহাসের আলোকে বিচার করা চলে চলে। এমনকি বাস্তব জীবনেও সেগুলির অস্তিত্ব সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করা, যেমন-কিছু অতিপ্রাকৃত ঘটনা, এগুলির কোনোটির উৎপত্তি বিশ্বাসে, আবার কোনটির উৎপত্তি ঐন্দ্রজালিক শক্তিতে ও আস্থায়।পাঠক পড়ে ফেলেন করি এই মহান রচনাটি আপনার কাছেও কাছেও ভাল খোঁড়াক যগাবে।তাই মিস না করে পড়ে ফেলেন।
Aktualisiert am
15.03.2023