ইসলামি পঞ্জিকা অনুযায়ী মহররমের দশম দিনকে আশহরমের দশম দিনকে আশুরু। আরবি শব্দ 'আশারা' অর্থ দশ আর 'আশুরা' অর্থ দশ বা দশম। শাব্দিক অর্থে যে কোনো মাসের ১০ তারিখকেই আশুরা যলা বলা বলা কিন্তু ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় কেবলমাত্র মহররম মাসের ১০ তারিখকেই আশুরা নামে অভিহিত করা হয়। কারো কারো মতে এ মাসের ১০ তারিখে ১০ টি তাৎপর্যবহ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে বিধায় এ দিনকে আশুরা নামে সম্বোধন করা হয়। মুসলিম উম্মাহ্র জন্য এটি একটি তাৎপর্যময় ও গিবর্যময় ও গবুর মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রতি বছর পবিত্র আশুরা পালিত হয়। ৬৮০ খ্রি. মোতাবেক ৬১ হিজরির এই দিনে অন্যায় ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ইসলামের শেষ নবি হযরত মোহাম্মদ (স.)-এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হুসাইন (রা.) চক্রান্তকারী ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে ফোরাত তীরে কারবালার প্রান্তরে মর্মান্তিকভাবে শাহাদতবরণ করেন। বিশ্বের মুসলমানদের কাছে দিনটি একদিকে যেমন শোকের, তেমনি হত্যা ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার চেতনায় উজ্জ্বল।
ইসলামের সুমহান আদর্শকে সমুন্নত রাখার জন্য তার আত্মত্যাগ ইতিহাসে সমুজ্জ্বল হয়ে আছে। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য ত্যাগের মহিমা মুসলিম উম্মাহ্র এক উজ্জ্বল ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। জুলুম-অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং অসত্য ও অন্যায় প্রতিরোধে ইমাম হুসাইন (রা.)-এর এ ভূমিকায় মানবজীবনের জন্য একটি শিক্ষণীয় শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে।
ইসলামের ইতিহাসে কারবালার এই শোকাবহ ঘটনার আগেও এ দিনে নানা তাৎপর্যময় ঘটনা ঘটেছে। পাষন্ড ইয়াজিদ বাহিনীর সৈন্যদের হাতে অবরুদ্ধ হয়ে পরিবার-পরিজন, সঙ্গীসাথিসহ হযরত ইমাম হুসাইন (রা.)-এর শাহাদতবরণের এ মর্মান্তিক ছাড়াও এই এই দিনে পৃথিবীতে অনেক ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ ঘটেছে বলে হাদিস শরিফে উলেস্নখ রয়েছে।
আপনি এখনি আমাদের এই অ্যাপটি ডাউনলোড করুন এবং এই অ্যাপটির মাধ্যমে আপনি ইসলামের এক মর্মান্তিক ইতিহাস সর্ম্পকে জানুন। অ্যাপটি ভালো লাগলে ৫ স্টার দিয়ে আমাদের উ৹সারধক
Na-update noong
Peb 26, 2024