প্রশংসা মহান আল্লাহর ও তার মহান রাসূলের উপর দরুদ ও ও।।
ইসলামের অন্যতম লক্ষ্য ’তাযকিয়া’ বা আত্মশুদ্ধি। শিরক, কুফর, বিশ্বাসের দুর্বলতা, হিংসা, অহংকার, আত্মমুখিতা, কৃপণতা, নিষ্ঠুরতা, লাভে ক্রোধ, প্রদর্শনেচ্ছা, জগম্মুখিতা ইত্যাদি ব্যাধি থেকে মানবীয় আত্মাকে পবিত্র করে গভীরতা, আল্লাহ ও তার রাসূলের প্রতি গভীর গভীর, সকল মানুষের প্রতি প্রতি, ভালবাসা, বিনয় , উদারতা, দানশীলতা, দয়াদ্রতা, সদাচারণ ইত্যাদি পবিত্র গুণাবলি অর্জন করে আল্লাহর। বা বন্ধুত্ব অর্জন করাই মুমিনের জীবনের অন্যতম লক্ষ্য। সকল মুসলিম ঈমান ও তাকওয়ার পর্যায় অনুসারে এই লক্ষ্য কমবেশি অর্জন করেন।
এই লক্ষ্য অর্জনের পরিপূর্ণতম আদর্শ মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর আদর্শের পূর্ণতম অনুসরণ করে তাযকিয়া ’ও’ বেলায়াতের সর্বোচ্চ শিখরে আরোহন করেছিলেন তাঁর সহচরগণ। তাঁদের অনুক্রণ-অনুসরণের পূর্ণতার উপরেই নির্ভর করে মুমিনের বেলায়াতের পূর্ণতা। অনুকরণ-অনুসরণ আংশিক হলে তাযকিয়া ও বেলায়াতের লক্ষ্য অর্জনও আংশিক ও অসম্পূর্ণ হতে বাধ্য।
বাইরে ইবাদত বন্দেগি কবুল হবে না বলে অনেক হাদীসে বলা বলা।। যদিও পরবর্তী অনেক আলিম আশ্বাস দিয়েছেন যে, খেলাফে সুন্নাত অনেক কর্মই আল্লাহ কবুল করে বিশেষ সাওয়াব দিবেন, কিন্তু অনেক মুমিনের মন এতে স্বস্তি পায় না। সুন্নাতের বাইরে যেতে চান না।
এই জীবন আমরা ইবাদত বন্দেগি কতটুকুই বা করতে পারি। সামান্য কাজও যদি আবার বাতিল হয়ে যায় তাহলে তাতো সীমাহীন সীমাহীন।। তারা সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত সুন্নাত সম্মত আমল সম্পর্কে জানতে জানতে।। উদ্দেশ্যেই কুরআন কারীম, সুন্নাতে রাসূল ﷺ ও সুন্নাতে সাহাবার আলোকে রাহে বেলায়াত বইটি।
রাহে বেলায়াত-এর বিষয়বস্তু পাঁচটি অধ্যায়ে বিভক্ত ছিল। নতুন দুটি অধ্যায় সংযোজন করে গ্রন্থটিকে সাত অধ্যায়ে বিভক্ত করা করা।। সকল অধ্যায়েই কমবেশি পরিবর্তন, সংশোধন বা সংযোজন করা হয়েছে। বিশেষ করে „সালাত ও বেলায়াত” নামে নতুন একটি অধ্যায় তৃতীয় অধ্যায় হিসেবে সংযোজন করা হয়েছে।
এ অধ্যায়ে সালাত বিষয়ক ‘রাহে বেলায়াতের’ পূর্ববর্তী সংস্করণের যিকর ও দু‘আ গুলোর সাথে আরো কিছু যিকর ও দু‘আ সংযোজন করা হয়েছে এবং সহীহ আলোকে সালাত সালাত আদায়ের পদ্ধতি আলোচনা করা হয়েছে। „রোগব্যাধি ও ঝাড়ফুঁক” শিরোনামের ষষ্ঠ অধ্যায়টি সম্পূর্ণ নতুন সংযোজন। জীবনের সাথে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত। দীর্ঘদিন যাবত অগণিত পাঠক বিভিন্নভাবে তাদের বিভিন্ন রোগব্যাধি, রোগব্যাধি, বিপদাপদ ইত্যাদির জন্য সুন্নাতসম্মত দু‘আ যিকর ও চিকিৎসা পদ্ধতি জানতে চাচ্ছেন।
কারণ তাবীয-কবয ইত্যাদির শিরক সম্পর্কে অনেক আলিমই কথা বলছেন। আমি আমার ’ইসলামী আকীদা’ গ্রন্থেও এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। পাঠকগণ তাবিয-কবয বর্জন করতে চান। বিকল্প সুন্নাত পদ্ধতি তো তাদের জানতে হবে। এজন্যই এ অধ্যায়টি সম্পূর্ণ নতুন সংযোজন করা হলো। মহান আল্লাহর কাছে আমরা সকাতরে দু‘আ করি, তিনি যেন এ সকল সুন্নাত-নির্দেশিত দু‘আ ও ঝাড়ফুঁকের ব্যবহারকারীদেরকে পরিপূর্ণ উপকার ও কল্যাণ প্রদান করেন।
আল্লাহ কুরআনে বলেন, „তোমরা আমার যিকির কর। তোমাদের যিকির করব ”। [বাকারাঃ ১৫২] আল্লাহর এই যিকির বিশ্বাসীদের জীবনের অন্যতম সম্পদ। সন্তুষ্টি ও সাওয়াব অর্জনের অন্যতম পথ। শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে হৃদয়কে রক্ষা করার অন্যতম উপায় আল্লাহর যিকির। চিন্তা, উৎকণ্ঠা ও হতাশা থেকে মুক্তি পাওয়ার অন্যতম উপায় আল্লাহর যিকির। ভারাক্রান্ত মানব হৃদয়কে হিংসা, বিদ্বেষ, বিরক্তি, অস্থিরতা ইত্যাদির মহাভার থেকে মুক্ত করার একমাত্র উপায় আল্লাহর যিকির। আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, আখিরাতের কামনা ও তাকওয়াকে হৃদয়ে সঞ্চারিত, সঞ্জীবিত, দৃঢ়তর ও স্থায়ী করার অন্যতম উপায় আল্লাহর যিকির। মাধ্যমে পার্থিব লোভ ও ভন্ডামী থেকে হৃদয়কে মুক্ত করা যায়। জাগতিক ভয়ভীতি ও লোভলালসা তুচ্ছ করে আল্লাহর পথে নিজেকে বিলিয়ে দিতে, তাঁর কালেমাকে উচ্চ করতে মুমিনের অন্যতম বাহন আল্লাহর যিকির।
আশাকরি, রাহে বেলায়েত অ্যাপলিকেশনটি পড়ে আপনারা প্রাত্যাহিক জীবনে অনেক উপকৃত হবেন এবং আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধবদের মাঝে এ্যাপটি শেয়ার করে তাদেরকে ও পড়ার সুযোগ করে দিবেন।
আপনার পজিটিভ রেটিং (৫ স্টার, রিভিউ) অনুপ্রেরণা করে এবং অন্য ইউজারদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।
দ্রঃ এই অ্যাপ সম্পর্কে আপনার গুরুত্বপূর্ণ অভিমত আমাদের একান্ত কাম্য। মাধ্যমে আপনার পাঠানো অভিমতের ভিত্তিতেই এই অ্যাপের উন্নয়ন ও সংশোধনের ব্যাবস্থা করা হবে। (ইনশাআল্লাহ)