তিনি সকলের কাছে কার্তিকেয় বা কার্তিক নামে, এবং শিব ও পার্বতীর পুত্র রূপে পরিচিত। পুরাণ অনুসারে হলুদবর্ণের কার্তিকের ছটি মাথা। তাই তাঁর আরেক নাম ষড়ানন। পাঁচটি ইন্দ্রিয় অর্থাৎ চক্ষু, কর্ণ, নাশিকা, জিহ্বা ও ত্বক ছাড়াও একাগ্র মন দিয়ে তিনি যুদ্ধ করেন। তাঁর হাতে থাকে বর্শা-তীর-ধনুক। আবার কারো মতে মানব জীবনের ষড়রিপু- কাম(কামনা), ক্রোধ (রাগ), লোভ(লালসা), মদ(অহং), মোহ (আবেগ), মাত্সর্য্য (ঈর্ষা) কে সংবরণ করে দেব সেনাপতি কার্তিক যুদ্ধক্ষেত্রে সদা সজাগ থাকেন। এই ষড়রিপু মানুষের জীবনের অগ্রগতির বাধা, তাই জীবনযুদ্ধে জয়লাভ করতে গেলে কার্তিকের মত সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে। পুরাণমতে তিনি তরুণ সদৃশ, সুকুমার, শক্তিধর এবং সর্বসৈন্যের পুরোভাগে অবস্থান করেন । তাই মা দূর্গার যুদ্ধযাত্রায় সময় এমন শৌর্যবীর্য সম্পন্ন পুত্র সঙ্গে রাখেন। কোনো কোনো মতে রণ-দেবতা কার্তিক হলেন চিরকুমার ব্রহ্মচারী। আবার কোনো কোনো পুরাণ মতে কার্তিকের পত্নী হলেন ইন্দ্রের কন্যা দেবসেনা বা লক্ষ্মীরূপিণী ষষ্ঠী। আধুনিক বাঙালিদের মধ্যে কার্তিক ঠাকুর পূজা নিয়ে খুব বেশি হইহুল্লোড় হয় না। দুর্গাপূজার পরে কিছুদিনের মধ্যেই কার্তিক মাসের সংক্রান্তিতে হয় কার্তিক পুজা।
Oxirgi yangilanish
25-iyn, 2021