শরীফ হুসাইন (ছদ্মনাম নসিম হিজাযী হিসাবে বেশি পরিচিতি, জন্ম: ১৯১৪ - মৃত্যু: ২ মার্চ ১৯৯৬) হলেন একজন পাকিস্তানি উপন্যাসিক ও লেখক, যিনি লেখালেখির সময় নসিম হিজাযী ছদ্মনাম।। একজন উর্দু ভাষার লেখক।
পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর জেলার ধারওয়াল শহরের পাশের একটি গ্রাম সুজানপুরে জন্মগ্রহণ করেন। স্বাধীন হওয়ার পূর্বেই ১৯৪৭ সালে তার পরিবার লাহোরে বসবাস শুরু করে। তার অধিকাংশ সময় পাকিস্তানে কাটিয়েছেন এবং ১৯৯৬ সালের ২ মার্চ তারিখে ইন্তেকাল করেন
* জীবন ও শিক্ষাদীক্ষা
হিজাজী ১৯৩২ সালে ধারওয়াল মিশন হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন। সালে লাহোর রেলওয়ে রোড ইসলামিয়া কলেজ থেকে বিআই পাশ করেন। শেষে সাংবাদিকরা জগতে পা রাখেন। ১৯৪১ করাচীর দুটি পত্রিকা ‘এবং এবং এবং এবং এর এর এর সাথে।।। ও অঞ্চলে পাকিস্তান আন্দোলনকে গ্রহণযোগ্য করার জন্য তিনি জাফর আলী খান জামালীর তানজিম এর সম্পাদকের দ্বায়িত্বও পালন ১৯৪৩ থেকে ১৯৪৮ পর্যন্ত এই পত্রিকার সাথে যুক্ত থাকেন ১৯৪৯ থেকে ১৯৫২ পর্যন্ত রাওয়ালপিন্ডির দৈনিক তামির এর সম্পাদক পদে নিযুক্ত থাকেন। পত্রিকাটিকে নসিম হিজাজী অনন্য উচ্চতায় পৌছে দেন। সালে নসিম হিজাজী ও চৌধুরী এনায়েতুল্লাহ মিলে দৈনিক কোহিস্তান প্রকাশ করেন। বেশীরভাগ গুরুত্বপূর্ণ কাজই নসিম হিজাজী পালন করেন। পত্রিকা গ্রহণযোগ্যতা ও সফলতার মনজিলে খুব দ্রুত পৌছে যায় লাহোর এবং মুলতান থেকেও প্রকাশ হওয়া শুরু করে। দেখতে পাঞ্জাব থেকেও প্রকাশ হওয়া শুরু করে সব সব পত্রিকার উপরে চলে। সালে পাকিস্তান সরকার এর তিনটি এডিশনের উপরেই দুই মাসের জন্য সেন্সরশীপ আরোপ করে অজুহাত হিসেবে পত্রিকার একটি খবরকে বানায় লাহোরে, লাহোরে এহতেজাজি জলসায় পুলিশের গুলিতে তিনজন ছাত্র নিহত। সরকারের ভাষ্য হচ্ছে কেউ নিহত হয় নাই বা আহতও হয়নাই। হিজাজীকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনাটা পত্রিকার জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হয়। পর এটি আর আগের অবস্থায় ফিরতে পারেনি। ১৯৬৩ সালে চৌধুরী এনায়েতুল্লাহ এই পত্রিকা থেকে আলাদা হয়ে যান। ১৯৭১ সালে দৈনিক কোহিস্তান প্রকাশিত হওয়া পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। নসিম হিজাজী তার মূল কাজ ঐতিহাসিক উপন্যাস লেখায় পুরোপুরি মনোনিবেশ করেন। রাওয়ালপিণ্ডি থেকে প্রকাশিত দৈনিক জঙ্গ পত্রিকায় মাঝেমাঝে বিভিন্ন বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রবন্ধ।
* উপন্যাস সমূহ
তার অধিকাংশ কাজের ভিত্তি হিসেবে বেছে নিয়েছেন ইসলামী ইতিহাসকে ইতিহাস তার এই কাজের মধ্যে তিনি ইসলামী সাম্রাজ্যের উত্থান ও পতন দুটোই দেখিয়েছেন তার উপন্যাস মোহাম্মদ বিন আখেরি, আখেরি মা’রেকা, কায়সার ওয়া ও কাফেলায়ে হেজাজ এর রাজনৈতিক রাজনৈতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও শিক্ষাদিক্ষায় উন্নতির যুগ যুগ রাজনৈতিক সামরিক সামরিক আবার ইউসুফ বিন তাশফিন, শাহিন, কালিসা আওর আগ এবং আন্ধেরি রাত কি মুসাফির বইগুলোতে স্প্যানিশদের পুনরায় বিজয়ের বর্ণনা। এগুলোর একটার (কালিসা আওর আগ) এর মধ্যে তিনি বেদনাময় তথাপি সত্যভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন স্পানিশ ইনকুইজিশন এর ব্যাপারটা শুরু স্পানিশ ইহুদিদেরকে লক্ষ্য করে এবং শেষ হয়েছিল স্প্যানিশ মুসলমানদেরকে বা জোরপূর্বক বাহ্যিকভাবে ধর্মে ধর্মে ধর্মান্তরিত চটান বর্ণনা করেছেন মধ্য এশিয়ায় চেঙ্গিস খানের বিজয় ও খারেজম সাম্রাজ্যের ধ্বংস হয়ে। বইতে দেখিয়েছেন মোঙ্গলদের নৃশংস বিজয় এবং চেঙ্গিস খানের সামরিক প্রতিভা। জালালুদ্দিন খারেজম শাহের দৃঢ়তা এবং বাগদাদের আব্বাসি খলিফার দুর্দশা ব্রিটিশদের ভারত জয়ের উপর দুটো ধারাবাহিক উপন্যাস লিখেছেন। বর্ণনা করেছেন মোঘল সাম্রাজ্য অকার্যকর হয়ে যাওয়ার পর ভারতীয় জাতির পতন সম্পর্কে। আলী বইটা শুরু হয়েছে পলাশীর যুদ্ধের কিছুদিন পূর্বের কাহিনী দিয়ে। চরিত্র মোয়াজ্জম আলী যিনি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে নবাব সিরাজুদ্দৌলার সাথে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। মূল চরিত্রকে কেন্দ্র করে এগিয়ে যেতে থাকে। হারানো গৌরব ও স্বাধীনতা ফিরে পেতে ভারতের বিভিন্ন স্থানে যায়। পানিপথের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। সে সেরিঙ্গাপটমে বসতি করে যা উদীয়মান শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছিল হায়দার আলীর উচ্চ ব্যাক্তিত্ত। বইটি শেষ হয়েছে মোয়াজ্জম আলীর মৃত্যু দ্বারা। বই 'আওর তলওয়ার টুট গাই' এর মধ্যে হায়দার আলীর ছেলে টিপু সুলতান বিস্তারিত আছে তিনি পাকিস্তানের স্বাধীনতা সম্পর্কে খাক আওর খুন নামে একটি উপন্যাস লিখেছেন।