সংকেতগুলির অর্থ নিম্নরূপ
الٓــمّٓ= আলে মিম (অর্থাৎ অনন্ত মোহাম্মদের অনন্ধ)
Plus d'informations তাহা ছাড়া মীমের উপর তাস্দীদ রহিয়াছে। মোহাম্মদ (আঃ) তাঁহার আল সহকারে সৃষ্টির মধ্যে জাহেরে এবং বাতেনে চিরন্তন হইয়া বিরাজমান রহিয়াছেন রহিয়াছেন এখানে 'আল' অর্থ নূরের বংশধর। আদিতে মোহাম্মদ, অন্তে মোহাম্মদ, মধ্যে মোহাম্মদ তাঁহাদের সবাই মোহাম্মদ। সৃষ্টির আদি-অন্তে আল্লাহর প্রতিনিধি হিসাবে সর্বত্র তাঁহারাই কর্তাব্যক্তি। মীমের উপর তস্দীদ রহিয়াছে। ফলতঃ ইহার উচ্চারণে মীম দ্বিগুণ হইতেছে অর্থাৎ মোহাম্মদই মোহাম্মদ।
এই সংকেতটি ৬ টি সূরার উদঘাটিকারূপে বা প্রারম্ভিক সংকেতরূপে বর্ণিত হইয়াছে। যথা ঃ সূরা বাকারা, আলে ইমরান, আনকাবুত, রুম, লোকমান এবং সেজদা।
অনুবাদ ঃ (২ ঃ ১ - ৩) আলে মোহাম্মদ, উহা আল কেতাব, নাই তাহাতে সন্দেহের কোনো অবকাশ-উহা একটি হেদায়েত সেই মোত্তাকীদের মোত্তাকীদের জন্য যাহারা সহিত ঈমানের ঈমানের কাজ করে সালাত দাড় করে এবং আমরা যে রেজেক দিয়াছি তাহা হইতে করে সালাত দাড় করে এবং আমরা যে রেজেক দিয়াছি তাহা হইতে করে।।
Plus d'informations স্রষ্টার সকল প্রকার বিকাশ বিজ্ঞানের মধ্যে অর্থাৎ তাঁহার কেতাবসমূহের মধ্যে মোহাম্মদের (আঃ) বংশধর হইলেন বিশিষ্ট একটি মহান কেতাব কেতাব।
অনুবাদ ঃ (৩১ ঃ ১-৩) আলে মোহাম্মদ-তাঁহারা বিজ্ঞানময় আল কেতাবের পরিচয় পরিচয়, (তাঁহারা) সৌন্দর্যের অনুশীলনকারীদের জন্য (বা সৎকর্মশীলদের জন্য) একটি হেদায়েত ও রহমত রহমত।
অনুবাদ ঃ (৩২ ঃ ১ + ২) আলে মোহাম্মদ-রাব্বিল আলামীন হইতে আল কেতাবের নাজেল, তাহাতে কোন সন্দেহ নাই।।
الٓـــرٰ = আলে রা (অর্থাৎ রসুলের অনন্ত বংশধর)
« » ??? তাঁহারাই হইলেন কেতাবের এবং স্পষ্ট কোরানের আྯ়ত অর্থাৎ পরিচয়, চিহ্ন, নিদর্শন, বিদর্শন। কোরান স্পষ্ট মানবীয় ভাষায় আল কেতাবকে আংশিকভাবে প্রকাশ করিয়াছে। সকল ধর্মগ্রন্থ গুলিকে আল কেতাবের অংশ বলা হইয়াছে (৪ ঃ ৫১)। সৃষ্টির মধ্যে স্রষ্টার সামগ্রিক বিকাশ বিজ্ঞানকে বা রহস্যময় পদ্ধতিকে আল কেতাব বলে। আল কেতাব হইতে অসংখ্য কেতাব অর্থাৎ বিভিন্ন প্রকার সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন প্রকার বিকাশ পদ্ধতি সৃষ্টিময় বিরাজ করিতেছে।।
অনুবাদ (১০ ঃ ১) আলে রা (অর্থাৎ রসুলের অনন্ত বংশধর) -ইঁহারা হইলেন বিজ্ঞানময় আল কেতাবের পরিচয় (বা নিদর্শন)।
অনুবাদ (১০ ঃ ২) ঃ ইহা কি মানুষের জন্য একটি আশ্চর্য ব্যাপার যে, আমরা তাহাদিগের মধ্য হইতে একজনের দিকে অহি করিয়াছি যে, “মানুষকে সাবধান কর এবং যাহারা বিশ্বাসকারী তাহাদিগকে সুসংবাদ দাও যে, তাহাদের জন্য তাহাদের রবের নিকটে রহিয়াছে সত্যে প্রতিষ্ঠিত অবস্থান।” কাফেরগণ বলে ঃ "নিশ্চয় ইনি অবশ্য স্পষ্ট যাদুকর।"
অনুবাদ (১১ ঃ ১) ঃ আলে রা (অর্থাৎ রসুলের অনন্ত বংশধর) -একটি কেতাব (যাহা) তাঁহার পরিচয়ের হুকুমত (চালনা) করে, তারপর বিজ্ঞানী জ্ঞাতা হইতে ফয়সালা (অর্থাৎ সমাধান) দান করে।।
অনুবাদ (১১ ঃ ২) ঃ যেন তোমরা না কর দাসত্ব আল্লাহ ব্যতীত (অন্য অন্য)। নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য তাঁহা হইতেই একজন সাবধানকারী ও সুসংবাদ দাতা।
ব্যাখ্যা ঃ আল্লাহর হুকুমত চালনা করিবার একমাত্র ন্যায়সঙ্গত অধিকারী হইলেন রসুলের বংশধরগণ। তাঁহারা ব্যতীত আল্লাহর বিধান অন্য লোকের পরিচালনায় কার্যকরী হইতেই পারে না। মহাবিজ্ঞানী এবং সর্বজ্ঞাতা আল্লাহতা’লার মনোনীত জীবন বিধানের সর্বদিক সম্বন্ধে সুপরিজ্ঞাত হইলেন সর্বযুগের রসুলের বংশধরগণ বংশধরগণ তাঁহারা সকল সমস্যার সমাধান আল্লাহতা’লা হইতে জ্ঞাত হইতে পারেন পারেন তাঁহারা শাসনকর্তা নিয়োজিত না থাকিলে মানুষ সর্ববিষয়ে যথা ঃ অর্থনীতি, রাষ্ট্রনীতি, সমাজনীতি ইত্যাদি ক্ষেত্রে আল্লাহর দাসত্ব হইতে বিচ্যুত হইয়া মানুষের দাসে পরিণত হইয়া যায় যায় এইজন্য এখানে মোহাম্মাদুর রসুলাল্লাহ (আঃ) নিশ্চয় করিয়া বলিতেছেন ঃ “আমি তোমাদের জন্য তাঁহা হইতেই একজন সাবধানকারী এবং সুসংবাদদাতা, (তাঁহার ক্ষমাপ্রার্থী করিয়া তাঁহারই দিকে তোমাদিগকে প্রত্যাবর্তনকারী বানাইবার জন্য)।”
Date de mise à jour
23 oct. 2023