এক সমুদ্র অসংখ্য ঢেউ (প্রথম খণ্ড)

· Jaytara Publishers
5,0
3 рецензијe
Е-књига
271
Страница

О овој е-књизи

জীবনের পথে চলতে চলতে একটা সময় আসে যখন সব মানুষই একবার পেছন ফিরে তাকায়। জীবনে ‘কি চেয়েছি, কি পেয়েছি, কি পাইনি’ – এমনি সব চাওয়া পাওয়ার হিসেব করে। 

দেয়া নেয়ার হিসেব করে সুখ দুঃখের দাঁড়ি পাল্লায়। এমনি ভাবে জীবন খাতার প্রতিটি পাতার হিসেব করে তারা। যদি জমার খরচ বেশী থাকে তবে খুশি হয়। আর যদি জীবনের খরচের পাতা বেশী ভারী হয় তবে দুঃখ পায়। হতাশ হয়ে তারা ভাবে, জীবনটাই বৃথাই খরচ হয়ে গেল। কিন্তু এই বিশাল জগৎ সংসারে এমন কিছু মানুষও আছে, যারা চিরকালের বেহিসেবী।

সংসারের এই এক ছঁক বাঁধা গণ্ডির ভেতরে নির্দিষ্ট আয় ব্যায়ের হিসেব করে এই চির ছন্নছাড়া বাউণ্ডলে লোকগুলো চলতে পারে না। এরা সংসারের প্রাচুর্য্যকে ভয় পায়। আবার অভাবের তীব্র জ্বালাকে হাসিমুখে বরণ করে খেয়াল খুশিমত ঘুরে বেড়ায়। এই হতভাগ্যদের বাঁধতে পারে না সংসারের যাবতীয় মোহময় আকর্ষণ অর্থাৎ বাড়ীঘর, জমিজমা, ঘর সংসার, পরিবার, প্রিয়জন সব। তাই এই ডানপিটেরা চাওয়া পাওয়ার গণ্ডি কেটে বেরিয়ে পড়ে অজানার পথে। সেই পথের শেষ কোথায় তারা জানে না। তবু তারা চলে। পথ চলাই যে তাদের আনন্দ। সেই অন্তহীন পথের অনিশ্চয়তা, দুর্গমতা, ভীষণতা, ভয়ঙ্কর দুঃখ কষ্ট, কিছুই এই বাপ মা খেদানো, সংসার তাড়ানো, লোক হাসানো বেপরোয়া লোকগুলো গ্রাহ্য করে না। 

তারা মনের আনন্দে জীবনপথের বিচিত্র বৈচিত্র্যময় শোভা দেখতে এগিয়ে চলে দুচোখে স্বপ্ন নিয়ে। অজানাকে জানাই যে তাদের নেশা। ভয়াল ভীষণকে জয় করাই যে তাদের পরম আনন্দ। 

এভাবে চলতে চলতে একদিন তাদের জীবন এই অন্তহীন পথের বুকে ঝরে পড়বে। মৃত্যু আসবে তাদের কাছে জীবন থেকে মহাজীবনের মধুর বার্তা নিয়ে। তারা সানন্দে ঝাঁপিয়ে পড়বে মৃত্যুর সুমধুর কোলে। তারা যে মহাপ্রকৃতির চিরচঞ্চল শিশু। 

এমনি এক চিরচঞ্চল শিশুর কথা জানি, যে আজ দেখতে পায় মহাজীবনের হাতছানি, যে আজ শুনতে পায় ওপারের ডাক। তাই তার পেছনের ফেলে আসা সুদীর্ঘ জীবনপথ তাঁকে যেন ডেকে বলে, “হে অনন্তের পথিক, হে অমৃতের যাত্রী, একবার পেছন ফিরে তাকাও। দেখ, তোমার এই জীবন পাত্র আমি পূর্ণ করে দিয়েছি আমার সব কিছু দিয়ে। কারণ তুমি তো আমার কাছে কোনদিনই কিছু চাওনি। শুধু আমার পথের দুধারে দুহাত ভরে ছড়িয়ে দিয়ে গেছ রাশি রাশি ভালবাসার ফুল।

তাই আজ চিরবিদায়ের পূর্বে একবার ফিরে তাকাও আমার পানে। আর গ্রহণ কর তোমার জীবনপথের পরম অর্ঘ্য। তারপর তুমি মহাযাত্রার পথে এগিয়ে যাবে মহামুক্তির আনন্দ নিয়ে। আর আমি চেয়ে থাকবো তোমার অন্তহীন পদচিহ্নের পানে স্মৃতিচারণের অমৃত যন্ত্রণা বুকে নিয়ে।“  

“এক সমুদ্র অসংখ্য ঢেউ (প্রথম খণ্ড)” এই মহাগ্রন্থটিতে বর্ণিত হয়েছে সাধক লেখক শ্রী বিপুল কুমার গঙ্গোপাধ্যায়ের মহাজীবনের বিশাল বৈচিত্র্যময় বিস্ময়কর আত্মকাহিনী। লিপিবদ্ধ আছে লেখকের সাহিত্যিকের জীবন থেকে সাধকের মহাজীবনের পথে উত্তরণের এক অপুর্ব বিবরণ।  


Оцене и рецензије

5,0
3 рецензијe

О аутору

সাধক লেখক শ্রী বিপুল কুমার গঙ্গোপাধ্যায় পুর্ববঙ্গের (অধুনা বাংলাদেশের) অন্তগর্ত ফরিদপুর জেলার পঞ্চপল্লীর ‘তামাটা’ গ্রামের এক সিদ্ধ ব্রাহ্মণ পরিবারে ১৩৪১ সালের ১৪ই পৌষ (৯ই জানুয়ারী ১৯৩৫) বুধবার ব্রাহ্মমুহূর্তে জন্মগ্রহণ করেন। এই ব্রাহ্মণ বংশে একাধিক সিদ্ধ মহাপুরুষের আর্বিভাব ঘটেছে। পিতা দিগিন্দ্র কুমার গঙ্গোপাধ্যায় তেজস্বী ও ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি ছিলেন। মাতা নিবেদিতা দেবীও অত্যন্ত ধর্মপ্রাণা ও সহৃদয়া ছিলেন। তাঁদের সাত পুত্র ও দুই কন্যার মধ্যে লেখক সর্ব কনিষ্ঠ সন্তান। বাল্যকালে শ্রীশ্রী রাম ঠাকুরের কাছ থেকে মহানাম লাভ করেন। কৈশোরে শ্রীরামচন্দ্রের সাধনায় মগ্ন হন এবং দীর্ঘ দশ বছর রাম জয়ন্তী উৎসব পালন করেন। ছাত্র জীবনেই কবি ও নাট্যকার রূপে খ্যাতি লাভ করেন। তিনি যখন মাত্র বি. এ. অনার্সের ছাত্র তখন ‘স্মৃতি’ এবং ‘আনন্দম’ পত্রিকা সম্পাদনা করেন।

এই সময় শৌখিন হস্তরেখাবিদ্ ও জ্যোতিষী রূপেও সর্বভারতীয় খ্যাতি লাভ করেন। পরে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন। একই সাথে সাহিত্য সাধনা ও সম্পাদনার সাথে সাথে বহু ভারতবিখ্যাত মহাপুরুষ মনীষী ও জ্ঞানী গুণীর নিবিড় সান্নিধ্যে আসেন। তাঁর প্রকাশিত কাব্য ও নাট্যগ্রন্থ সকল একাধিক পুরুস্কার লাভ করেছে। তাঁর রচিত নাটক বেতারে ও মঞ্চে অভিনীত হয়েছে। তাঁর রচিত গানের রেকর্ড বেতারে বহুবার প্রচারিত হয়েছে। তাঁর প্রযোজনায় দূরদর্শনে নৃত্যনাট্য অনুষ্ঠিত হয়েছে।

লেখকের রচিত গল্প, কবিতা, নাটক, রম্যরচনা, গান ও প্রবন্ধ (বাংলা, ইংরাজী ও জার্মান ভাষায়) বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৬৯ সালে চৌত্রিশ বছর বয়সে তারাপীঠে এসে তাঁর জীবনের আমুল পরিবর্তন ঘটে। প্রায় বিশ বছর ধরে পাঁচ খণ্ডে ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ গ্রন্থ রচনা করেন। তার মাঝে হিমালয়ের বিভিন্ন তীর্থে ভ্রমণ করেন। তিনি পরপর তিনটি পূর্ণকুম্ভমেলায় যোগ দেন এবং বহু উচ্চকোটির সাধু মহাত্মার সান্নিধ্যে আসেন। হরিদ্বারের পূর্ণকুম্ভে তিনি একাধিক ধর্মসভায় ‘সংগীত’ এবং ‘কুম্ভযোগ’ –এর ওপর বক্তৃতা দেন। পুরীতে ধর্মসভায় জগন্নাথ ও রথযাত্রার ওপর বক্তৃতা করেন। ১৯৮৯ সালে তাঁর মহাপীঠ তারাপীঠ গ্রন্থের ১ম ও ২য় খণ্ড চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়। ১৯৯০ সালে ভারতীয় সংস্কৃতি সম্মেলন কর্তৃক তাঁর মহাপীঠ তারাপীঠ গ্রন্থ ‘বামদেব পুরস্কার’ লাভ করে। পরবর্তীকালে লেখকের রচিত ‘সাধু সান্নিধ্যে সাধু মনীষী’, ‘সাধু সান্নিধ্যে রবীন্দ্রনাথ’ এবং ঠাকুর শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ, মা সারদামণি ও স্বামীজীর দিব্য মহাজীবনের অলৌকিক লীলাসকলের উপর রচিত ‘অলৌকিক লীলায় শ্রীরামকৃষ্ণ, সারদা ও স্বামীজী’ (তিন খণ্ডে সমাপ্ত) গ্রন্থগুলি জনমানসে বিরাট সমাদর লাভ করে। 

তিনি কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গের বহু ধর্মসভায় ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’, ‘ভারতে শক্তিসাধনা’, ‘দিব্যলোক’, ‘তন্ত্রধর্ম’, ‘যোগসাধনা’, ‘ভারতীয় সাধনার বিভিন্ন পথ ও তার সমন্বয়’, ‘কুম্ভযোগের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ’ প্রভৃতি বিষয়ের ওপর মনোজ্ঞ বক্তৃতা দেন। লন্ডনের বি.সি.সি. থেকেও তাঁর ধর্মবিষয়ক সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়েছে।

ত্রিলোক জননী তারামায়ের দিব্য কৃপাশক্তি লেখককে কেন্দ্র করে দেশে বিদেশে প্রসারিত হয়েছে। প্রাচ্যে ও পাশ্চাত্যে তাঁর বহু শিষ্য ভক্ত তারামায়ের ও শ্রীশ্রীবামাক্ষ্যাপার অলৌকিক কৃপাধন্য হয়েছে। 

বর্তমানে সমগ্র পৃথিবীতে তারানাম, তারাতত্ত্ব ও তারাসাধনার প্রচার ও প্রসার কল্পে লেখক একান্তভাবে নিয়োজিত। 


Оцените ову е-књигу

Јавите нам своје мишљење.

Информације о читању

Паметни телефони и таблети
Инсталирајте апликацију Google Play књиге за Android и iPad/iPhone. Аутоматски се синхронизује са налогом и омогућава вам да читате онлајн и офлајн где год да се налазите.
Лаптопови и рачунари
Можете да слушате аудио-књиге купљене на Google Play-у помоћу веб-прегледача на рачунару.
Е-читачи и други уређаји
Да бисте читали на уређајима које користе е-мастило, као што су Kobo е-читачи, треба да преузмете фајл и пренесете га на уређај. Пратите детаљна упутства из центра за помоћ да бисте пренели фајлове у подржане е-читаче.

Још од аутора Sri Bipul Kumar Gangopadhyay

Сличне е-књиге