নামায ইসলামের পাঁচটি মৌলিক ভিত্তির দ্বিতীয় ভিত্তি। নামায বান্দা ও আল্লাহর মাঝে সু-নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলার সেতুবন্ধন, আল্লাহর দেয়া শ্রেষ্ঠ উপহার, বিশ্বাসের দলীল, পুণ্য কাজের মূল। সর্বোত্তম ইবাদত, বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীদের মাঝে পার্থক্য নির্ণয়কারী, মুক্তি ও নাজাতের পূর্ব শর্ত এবং ঈমানের অতন্দ্র প্রহরী। এটা পরিহার করলে কবীরা গুনাহ হবে। অস্বীকার করলে কাফির হবে। রাসূল (সা) ইরশাদ করেছেন : মু’মিন ও কাফিরের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য হলো নামায। মু’মিনগণ নামায আদায় করে আর কাফিরগণ নামায আদায় করে না।রাসূল (সা) আরো বলেছেন, নামায হলো দ্বীনের খুঁটি। সুতরাং যে নামায কায়েম করে সে যেন দ্বীনকেই কায়েম করলো। আর যে নামায পরিত্যাগ করল সে যেন দ্বীনকেই পরিত্যাগ করল। বর্ণিত আছে, তাওহীদের স্বীকারোক্তির পরই রাসূলুল্লাহ (সা) নও-মুসলিমগণের নিকট হতে নামাযের প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করতেন। (ফাতহুল বারী)
হযরত ওমর (রা) বলেছেন : যার নামায ঠিক তার সব ঠিক। যার নামায ঠিক নেই, তার কিছুই ঠিক নেই। সুতরাং নি:সন্দেহে নামাযের গুরুত্ব সকল ইবাদতের শীর্ষে।
এ মহামূল্যবান ইবাদত সহীহ ও সুন্দরভাবে আদায় করার জন্য, অন্তর্নিহিত তাৎপর্য অনুধাবন এবং এর মৌলিক শিক্ষা নিজ জীবনে সমাজ তথা রাষ্ট্রে বাস্তবায়ন করার জন্য আমি দেশ-বিদেশের প্রখ্যাত ইসলামী লেখক, মনীষী, গবেষক, বিশ্ব বরেণ্য ইসলামী চিন্তাবিদদের নামায সম্পর্কে লিখা বিভিন্ন্ প্রকার বই-পুস্তক, প্রবন্ধ অধ্যয়ন করি। অধ্যয়নকালে আমার পঠিত বই পুস্তক ও প্রবন্ধ হতে আমার ভালো লাগা কিছু গুরুত্বপূর্ণ মর্মস্পর্শী বিষয় আমার মতো করে নামাযী ভাই বোনদেরকে অবহিত করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি। এই অনুভূতি থেকেই এই বই সংকলন করার ক্ষুদ্র প্রয়াস হাতে নিই।