স্রষ্টার সৃষ্টি অসীম। যার মধ্যে পৃথিবী নামক গ্রহটি বৃহত্তর মানব জীবনের খেলাঘর বলে ধরে নেয়া যায়। জন্মের পর থেকে জীবনের বিচিত্র ঘটনাবলী কোনটা ইতিহাসের পাতায় স্থান পায় কোনটা নিরবে কালের গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এই হারিয়ে যাওয়ার মধ্যে মনের পাতায় শিহরণ জাগানো কাহিনী যে থাকে না তা নয়; সেটা অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে না পারলেও শিল্পীর নজর এড়াতে পারে না। তাঁদেরই সোনার হাতের স্পর্শ জীবন্ত হয়ে আগ্রহী মানুষের হৃদয়ে সাড়া জাগায়। তাই অজানার আগ্রহ দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। একদল বিজ্ঞ গদ্য শিল্পীর হাতেই উদ্ঘাটিত হচ্ছে মানুষের ঘটনাবহুল জীবনের ছায়াচিত্র। যা উপন্যাস নামে আখ্যায়িত হয়ে সাহিত্য জগতকে আলোকিত করে রেখেছে। সেই আলোর উজ্জ্বলতা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সূক্ষ্মদর্শী মানুষের দৃষ্টিও প্রসারিত হচ্ছে। প্রসারিত সমাজের দৃষ্টি কাঁড়তে আমার ‘পথের শেষে’ উপন্যাসখানি একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস যার দ্বিতীয় পর্ব ‘সাদা কাগজ’ এটা ব্যর্থ কি সার্থক তা নির্ণয় করার দায়িত্ব পাঠকদের।