কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে গেলে ঘটনাবহুল জীবনের অনেক ক্ষেত্রে সত্যের মতো মিথ্যে অভিনয়ও করতে হয়। বাস্তবতার নিরিখে তা জীবন্ত বলেই অনুভূত হয়। এমনই একটা কাহিনী নিয়ে মুক্তির সূর্যোদয় উপন্যাসখানি লেখা। এর মধ্যে বিস্ময়ভরা করুণ আর্তনাদ যেমন আছে, তেমনি প্রাণের স্পন্দনও আছে। মুক্তির সংগ্রামে আত্মত্যাগী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দুঃসাহসী অভিযানের অনেক বাস্তব চিত্র আজও অন্ধকারে ঢাকা পড়ে আছে। আমার ক্ষুদ্র শক্তি দ্বারা যতটুকু পেরেছি, সে ঢাকনী কিছুটা উন্মোচন করে যে তথ্যটুকু বের করতে পেরেছি, তা ইতিহাসের আদলে না লিখে উপন্যাস আকারে লেখা হলো। অনেক ক্ষেত্রে বাস্তব সত্যকে এমন নিপুণতার সাথে দেখানো হয়েছে, যা পাঠকের কাছে অবিশ্বাস্য বলে প্রতীয়মান হতে পারে, কিন্তু তা মিথ্যে নয়। মিথ্যার মতো শোনালেও তা সত্য। এমন অজস্র কাহিনী রূপসী বাংলার পথে প্রান্তরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, ভেসে বেড়াচ্ছে বাতাসে। কান পেতে শুনলে কান্নার করুণ সুর শুনতে পাওয়া যাবে।এই উপন্যাসে যাদের চরিত্র অঙ্কিত হয়েছে তাদের অনেকেই আজ বাংলার এই শস্য শ্যামল ভূমির ঘ্রাণ অদৃশ্য জগৎ থেকে আহরণ করছেন। যাদের জীবনের স্পন্দন আজও বয়ে যাচ্ছে মুক্ত ভূমির অলিতে-গলিতে- এতিমের মতো অবহেলিত হয়ে, জাতি কি তাদের কাছে ঋণী নয়? আত্মত্যাগীদের মূল্যায়ন আর কতকাল পরে হবে? জাতির বিবেক বলে পরিচিতদের কাছে প্রশ্ন রেখে গেলাম।
Religião e espiritualidade