এটা আমার লেখা প্রথম উপন্যাস। স্কুলজীবনে উপন্যাস, গল্প পড়ার আগ্রহ ছিল যথেষ্ট। কিন্তু নিজে কিছু লেখার চেষ্টা সেভাবে কোনোদিন করিনি। মনের জোর, বিশ্বাস কোনটাই ছিল না। বর্তমানে পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার। কর্মজীবন ও সাংসারিক জীবনে কাজের চাপ প্রচুর। অবসর কম। কিন্তু বিগত দুবছর ধরে গল্প ও উপন্যাস পড়ার নেশা আবার জেগে ওঠে। এরপর হঠাৎ করেই একদিন নিজে কিছু একটা লেখার চেষ্টা করি। দুলাইন, চারলাইন করে লিখতে লিখতে আত্মবিশ্বাস পেয়ে যায়। মন্থর গতিতে আমার প্রথম উপন্যাসটি শেষ করে ফেলি।
‘রোদপোড়া’ তিন গ্রাম্য কিশোরীর দৈনন্দিন জীবন, সংঘাত ও মানবিক টানাপোড়েনের কাহিনি। লেখার সময় আমার নিজের ও পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলির প্রাকৃতিক ও সামাজিক দৃশ্যপট বারবার আমার কল্পনায় ভেসে ওঠেছে। প্রায় দুই দশক পূর্বের মুর্শিদাবাদ জেলার গ্রাম্য পটভূমিতে লেখা এই উপন্যাসটিতে এখানকার গ্রামের প্রাকৃতিক, সামাজিক ও মানবিক জীবনকাহিনির চিত্রটি যথাসম্ভব সঠিকভাবে তুলে ধরার প্রয়াস করেছি। যথাসম্ভব নিখুঁত চিত্রনের প্রয়োজনে এখানকার গ্রাম্য আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহারও অনেক ক্ষেত্রে করতে হয়েছে। গল্প-উপন্যাসে এই ভাষার ব্যবহার আগে কোনোদিন হয়েছে কি না আমার জানা নেই। অন্য অঞ্চলের পাঠকদের ক্ষেত্রে তাই এটা সামান্য অসুবিধাজনক হতে পারে।
মসিউর রহমান