এ-হেন মানুষটির সঙ্গে কয়েকজন স্কুল-ছাত্রের নিতান্ত আকস্মিকভাবেই আলাপ হয়ে যায়। তাদের কাছে গুণময় রায় খোলসা করেন তাঁর কয়েকটি আবিষ্কারের কথা। একে একে খুলে যায় আশ্চর্য সব জগতের দরজা, যার তুলনা আর কোথাও নেই। কখনও নিজের মনোজগত, কখনো-বা প্রজন্মবাহিত স্মৃতির সরণিতে অক্লেশে ঘুরে বেড়ান ‘গুণময় দ্য গ্রেট’, আর পাঠকেরাও সুযশ মিশ্রের জবানিতে স্বাদ পায় সেই অতুলনীয় অ্যাডভেঞ্চারগুলির। বিচিত্রতর যাত্রাপথে সম্রাট সমুদ্রগুপ্ত থেকে শুরু করে যুদ্ধরত মহাদেব—কতজনের সঙ্গেই না দেখা হয়ে যায় তাদের।
রঞ্জন দাশগুপ্তর জন্ম ১৯৭৬ সালে বাঁকুড়ায়। পিতা ছিলেন কলিয়ারির আধিকারিক। সেই সূত্রে বেড়ে ওঠা কয়লাখনি অঞ্চলে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিজ্ঞানে স্নাতক। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরে কর্মরত। প্রথম প্রকাশিত লেখা একটি ক্ষুদ্র সংবাদপত্রে, নিতান্ত বালক বয়সে। প্রথম প্রকাশিত গল্প ‘শুকতারা’ পত্রিকায়। ‘আনন্দমেলা’, ‘দেশ’, ‘শুকতারা’, ‘কিশোর ভারতী’ ইত্যাদি পত্রিকায় ইতিমধ্যে একাধিক লেখা প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম একক বই ‘আপ্পু ও পরিদিদি’ আনন্দ পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত।