সেই বৃন্দাবনে লীলা অবিরাম

· Jay Ma Tara Publishers
4.6
11 reviews
Ebook
97
Pages

About this ebook

বৃন্দাবন হল ভারতবর্ষ তথা সারা বিশ্বের এক মহাতীর্থ। আর বৃন্দাবনের সবথেকে রহস্যময় কুঞ্জবন হল নিধুবন। এই কুঞ্জে প্রতি রাতে হয় শ্রীরাধাকৃষ্ণের রাস। আসলে গোলক বৃন্দাবনের অংশ যে এই ভৌম বৃন্দাবন। তাই গোলকে যেমন চলে নিত্য রাস তেমনই এই ভৌম বৃন্দাবনেও চলে সেই রাসের ধারা। শ্রীরাধা শ্রীকৃষ্ণ ও গোপিনীরা আজও এখানে রাস করে চলেন প্রতি রাতে। সেইসময়ে নিধুবনে কেউ থাকতে পারে না। এমন কি বনের বানররা পর্যন্ত বন ছেড়ে বেরিয়ে যায় তখন। রাসের দিব্য স্পন্দন ও দিব্য আনন্দ দেহে ধারন করা যে সাধারণ স্থূলদেহী প্রাণীদের পক্ষে অসম্ভব। 

তবে নিধুবনের এই রহস্যভেদের চেষ্টা যে হয় নি তা নয়। যুগে যুগে অনেক অবিশ্বাসী নাস্তিক আস্তিক যাঁরা এই রহস্যের সন্ধান করতে রাতে পাঁচিল টপকে ঢুকেছিল এই বনে বা কোনোভাবে এই দিব্যদর্শনের পরশ পেয়েছিলেন, তাঁদের অধিকাংশেরই কিন্তু পরেরদিন মৃতদেহ পাওয়া গেছে। আর যাঁদের জীবিত অবস্থায় পাওয়া গেছে তাঁরা প্রত্যেকেই রাতের অভিজ্ঞতার পর উন্মাদ হয়ে গেছেন। ফলে নিধুবনের রহস্য ভেদ হয় নি কোনভাবেই।  

নিধুবনের দিব্য দর্শন যাঁদের স্থূলদেহের বিনাশ ঘটিয়েছে তাঁদেরই একজন লেখকের প্রথম মন্ত্রশিষ্যা শর্মিলা- শর্মিলা রায় চ্যাটার্জি। যেমন হাসিখুশি স্মার্ট মেয়ে, তেমনই প্রচণ্ড শ্রীকৃষ্ণভক্ত। শ্রীকৃষ্ণ অন্তঃপ্রাণ এই মেয়েটি কিভাবে দীক্ষার পর সাধনজগতে প্রবেশ করল, কিভাবে শ্রীকৃষ্ণের কৃপা ওকে টেনে নিয়ে গেল বৃন্দাবনে এবং কিভাবে রাতের নিধুবনে ও লাভ করল শ্রীকৃষ্ণদর্শন সেই দিব্য অভিজ্ঞতাই তুলে ধরা হয়েছে “সেই বৃন্দাবনে লীলা অবিরাম” নামক এই গ্রন্থে। এই গ্রন্থ পাঠ করে ভক্ত পাঠক পাঠিকারা যদি ভক্তিরসে আপ্লুত হন এবং তাঁদের যদি একটু হলেও সাধনজগতে উত্তরণ ঘটে তাহলে সার্থক হবে লেখকের এই গ্রন্থ রচনার প্রয়াস।  


Ratings and reviews

4.6
11 reviews
RAKHEE MUKHERJEE
March 24, 2022
কারণ এই পথ ভীষণ পিচ্ছিল,পথের প্রতিটা বাঁকেই রাখা থাকে নানান ফাঁদ।কখনো রিপুর ষড়যন্ত্র যন্ত্রণাভোগ কখনো আবার বিকারের কাঁটায় বিদ্ধ হয়ে আবার অহংকার অভিমানের শিকল পিছনে টেনে ধরে।সব যে একে একে এসে অবরুদ্ধ করে গতি আমাদের;বেঁধে নেয় মায়ার ছলে,কারণ যত আটকাতে পারবে ততোই মায়ার জয়।সবকিছুই অতিক্রম করা যায় একমাত্র ইষ্ট গুরুর চরণে সমর্পণ করে তা তো গ্রন্থ থেকেই পাওয়া যায়।কীভাবে নিকলুষ হয়ে তাঁর চরণের সেই কমল হয়ে ফুটে উঠা যায় তার পূর্ণ বিবরণও রয়েছে আমাদের;অর্থ কাম ক্রোধ মোক্ষের গভীর ও গূঢ় ব্যাখ্যা পাই।গাছে ত অনেক ফুলই ফোটে কিন্তু যে ফুলে-র নিজ আপন সৌরভের গরিমায় না ভুলে শুধু ইষ্ট গুরুর চরণ অবলম্বনে পূর্ণতা আসে সেখানেই ত ফুল গেয়ে উঠতে পারে কবিগুরুর রচনায়- "ফুল বলে ধন্য আমি,ধন্য আমি মাটির পরে" আর ধন্য হয় ফুল সেই চরণের মাঝে মিশে গিয়ে।তাই fool না হয়ে থেকে ফুল হয়ে শ্রীচরণকমলে ঠাঁই পাই এই প্রার্থনা।বারে বারে শ্রীগুরুদেবের প্রতিটা গ্রন্থ আমাদের সেই পূর্ণ শরণাগতির পথের দিক নির্দেশ করে এগিয়ে দিয়েছেন আপন ইষ্টের দিকে আপন করে অভিভাবকের মতোই।এমন নিবিড় আপনজন যে বড়ই দুর্লভ।আমরা অনেকে বুঝেও বুঝি
Did you find this helpful?
Srabastee Nandi
March 23, 2022
ভাই তোমার লেখা 'সেই বৃন্দাবনে লীলা অবিরাম' শেষ থেকে শুরু করলাম।নদী যেমন মোহনায় মিলিত হবার জন্য ছুটে যায়,পরমাত্মার সাথে মিলন হলে আত্মার আরাম,আনন্দ,ও শান্তি।ক্ষুদ্র আমি তখন আর এই বদ্ধ দেহে থাকতে চায় না,পরমাত্মা অর্থাৎ বৃহৎ আমির সাথে মিলতে চায়,পরমাত্মার দর্শনে ভক্তি মতি শর্মিলারও সেই অবস্থা হয়েছিল। ভাই, তোমার প্রতিটি বইয়ের শেষ টা জমতে,জমতে জমাট বেঁধে ক্ষীর হয়ে যায়,এখানেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।আমরা আনন্দ কে খুঁজে বেড়াই,বার বার ফিরে যেতে চাই সেই আনন্দের কাছে,তাও জীবনের শত বাধা বিপত্তির মাঝে এক্জন্মে হয়ে ওঠে না সেই প্রাপ্তি।কিন্তু শর্মিলা চেয়েছিল এই জন্মেই পরমাত্মার সঙ্গে তাঁর আত্মার মিলন ঘটাতে,তাই যেন তেন প্রকারেণ সে সফল করেছে তাঁর উদ্দেশ্য কে। এই হঠকারি সিদ্ধান্তের ফলে তাঁকে আবার জন্ম মৃত্যুর চক্রে ফিরতে হবে কিনা সেটা আমার ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে ধরতে পারলাম না।তবে যে মিলন হল,সেটাই হলো মধুর মিলন।আমাদের প্রত্যেককেই এই জাগতিক মায়ার বিষাদের দুঃখ জ্বালা কে অতিক্রম করে ফিরতে হবে আনন্দের সমুদ্রে,কঠোর সাধনার ফলেই তা সম্ভব,এবং তাই করাই উচিৎ।জাগতিক সুখ,দুঃখ কে নির্বিকার চিত্তে গ্রহণ করে,এই জন্মের মায়ার সম
Did you find this helpful?
Bidisha Arin Nandi Bhadra
March 23, 2022
এক্ষুণি পড়া শেষ হলো আমার প্রিয় দাদার লেখা সাম্প্রতিকতম গ্রন্থ 'সেই বৃন্দাবনে লীলা অবিরাম।'এক অপূর্ব আবেশে মন আচ্ছন্ন হয়ে আছে এখনো।দাদার রচিত প্রতিটা গ্রন্থই আধ্যাত্মিক জগতের একেকটি মণি মুক্ত স্বরূপ।প্রতিটি বইয়ের পড়া শেষে আধ্যাত্ম বইয়ের পাঠকেরা অপর্থিব অমৃত আস্বাদন করেন মন,প্রাণ ভরে।একদম চুপ করে শুধু অনুভব করতে হয় একটা গভীর আনন্দের স্রোতকে। আমাদের জীবনের একমাত্র বিষাদ আমরা আমাদের মূল স্বরূপ,মূল উৎস পরমাত্মাকে ভুলে থাকি,আর এই মায়ার জগতকে ভালবাসতে যাই।এই মায়া রূপ ভুলভুলাইয়াতে আটকে যখন হাঁসফাঁস করি,তখনও আমাদের মনে পড়ে না আমাদের একান্ত আপনজনকে,যাঁকে পেলেই জীবনের সকল চাওয়া পাওয়া শেষ হয়,তাঁকে খুঁজি না কোথাও।কিন্তু,আমাদের প্রথমা গুরুবোন শর্মিলাদির খোঁজা শুরু হয়েছিলো অনেক আগেই।তাইতো পার্থিব জগতের অনেক বাধা,টানাপোড়েন,মান অপমানের হাত থেকে রক্ষা পেতে সে বেছে নিয়েছিলো প্রাণপ্রিয় শ্রীকৃষ্ণকে দর্শনের পথ।সেই পথে শ্রী গুরুর কৃপায় অগ্রসরও হচ্ছিলো সে।কিন্তু সিদ্ধির চরম সীমায় পৌঁছনোর আগেই বড্ড তাড়াহুড়ো হয়ে গেল।তাঁর দেহ জপসিদ্ধ হবার আগেই চর্মচক্ষুতে দর্শন করে ফেললো শ্রীকৃষ্ণের অপার্থিব রূপ,অপার্থিব লীলা
Did you find this helpful?

About the author

তারাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বাংলা অধ্যাত্ম সাহিত্যের এই উজ্জ্বল নক্ষত্র ছেলেবেলা থেকেই আধ্যাত্মিক জগতের সাথে যুক্ত। সেই সময় থেকেই সাধক পিতা শ্রীবিপুল কুমার গঙ্গোপাধ্যায়, গোপাল সাধিকা মাতা শ্রীমতি মীরা গঙ্গোপাধ্যায় এবং অগণিত সিদ্ধ সাধক সাধিকার অমৃতময় সান্নিধ্য তাঁর মননশীল জগৎকে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করে তোলে। মাত্র চোদ্দ বছর বয়সে মহামণ্ডলেশ্বর শিবানন্দ গিরি মহারাজের পত্রিকা “পাঁচ সিকে পাঁচ আনা”-য় লেখকের প্রথম ধারাবাহিক ভ্রমণ কাহিনী “দিব্যধাম পুরীতে রথযাত্রা” প্রকাশিত হয়ে বিশেষ সম্মান লাভ করে।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজী সাহিত্যে মাস্টার ডিগ্রি অর্জনকারী এই সাধক লেখক যোগ ও ভক্তির পথে নিজ মুক্তির সাথে সাথে সকল ভক্তদেরও পরমের পথে নিয়ে যাবার লক্ষ্যে নিয়োজিত। এই মানবকল্যাণের ব্রতে তাঁর ঐশীকৃপাসম্পন্ন লেখনীই মুখ্য মাধ্যম। ১৯৯৬ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম গ্রন্থ “মহাসিন্ধুর ওপার থেকে”। তারপর থেকে প্রকাশিত হতে থাকে তাঁর একের পর এক আধ্যাত্মিক মহাগ্রন্থ- দেবলোকের অমৃতসন্ধানে (চার পর্বে সমাপ্ত – যমুনোত্রী-গঙ্গোত্রী-গোমুখ পর্ব, বাসুকীতাল-কালিন্দী খাল-বদ্রীনাথ পর্ব, পঞ্চবদ্রী-পঞ্চপ্রয়াগ-পঞ্চকেদার পর্ব, নেপাল পর্ব), অতীন্দ্রিয় জগতের আহ্বান, বৃন্দাবনে আজো ঘটে অঘটন, জ্ঞানগঞ্জের অমৃতলোকে, কাশীধামে আজো ঘটে অঘটন, শ্যামের মোহন বাঁশী, ক্ষণিক খোঁজে চিরন্তন ( তিন পর্বে সমাপ্ত- মধ্যপ্রদেশ পর্ব, নাসিক-শিরডি-দ্বারকা প্রভাস পর্ব, দক্ষিণ ভারত পর্ব), আজো লীলা করেন সাই, FROM THE WORLD BEYOND DEATH, জন্মান্তর, মহাপ্রভুর নীলাচলে আজো চলে লীলা, অনন্তের জিজ্ঞাসা (পাঁচ খণ্ডে সমাপ্ত), কেদারনাথে আজো ঘটে অঘটন, যেথা রামধনু ওঠে হেসে, আজো সেথা নিত্য লীলা করেন গোরা রায়, জীবন থেকে মহাজীবনের পথে, সাংগ্রীলার গুপ্তযোগী, ব্রজধামে আজো ঘটে অলৌকিক ( তিন পর্বে সমাপ্ত – বৃন্দাবন পর্ব, মথুরা-রাধাকুণ্ড- গোবর্দ্ধন-কাম্যবন পর্ব এবং বর্ষাণা-নন্দগ্রাম-গোকুল মহাবন পর্ব) এবং ভক্তের ভগবান। প্রতিটি গ্রন্থই সাধুসমাজ, পাঠকসমাজ তথা বিভিন্ন সংবাদপত্র ও পত্রপত্রিকা কর্তৃক বিরাট সমাদর লাভ করে। এই গ্রন্থগুলিতে আজো নিত্য ঘটমান অলৌকিক লীলার উপর রচিত অবিস্মরণীয় সত্যঘটনাগুলি লেখককে যেমন আপামর জনসাধারণের আরো কাছে নিয়ে এসেছে তেমনই পাঠক-পাঠিকাদেরও অবিরত সাহায্য করে চলেছে তাঁদের আত্মোপলব্ধির পথে – জীবন থেকে মহাজীবনে উত্তরণের লক্ষ্যে। এইভাবেই লেখক বর্তমানে জগৎ ও জীবের কল্যাণে আপন ঐশীনির্দিষ্ট ব্রতে একান্তভাবে নিয়োজিত। 


Rate this ebook

Tell us what you think.

Reading information

Smartphones and tablets
Install the Google Play Books app for Android and iPad/iPhone. It syncs automatically with your account and allows you to read online or offline wherever you are.
Laptops and computers
You can listen to audiobooks purchased on Google Play using your computer's web browser.
eReaders and other devices
To read on e-ink devices like Kobo eReaders, you'll need to download a file and transfer it to your device. Follow the detailed Help Center instructions to transfer the files to supported eReaders.