হযরত মির্যা গােলাম আহমদ (আঃ) আল্লাহর নির্দেশে ইমামুজ্জামান, মসীহ মাওউদ ও ইমাম মাহদী (আঃ) হওয়ার দাবী করেছেন। তিনি তাঁর দাবীর স্বপক্ষে কুরআনহাদীস ছাড়াও বহু ঐশী নিদর্শন ও ভবিষ্যদ্বাণী পেশ করেছেন। এসব ভবিষ্যদ্বাণী সময়মত পূর্ণ হয়ে চলেছে।তিনি অকাট্যভাবে প্রমাণ করেছেন যে, একমাত্র কুরআন পাকের শিক্ষা তথা ইসলামই বর্তমানে সর্বগ্রাসী অবক্ষয়ে জর্জরিত মানবতাকে সুস্থ ও সবল করে গড়ে তুলতে পারে; পারে অযথা নানাভাবে খন্ডিত মানবতাকে একই ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের প্রেমডােরে আবদ্ধ করতে। সর্বোপরি পারে মানুষকে আল্লাহর প্রিয় দাসে পরিণত করতে। তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বার বার ঘােষণা করেছেন যে, একান্ত নিষ্ঠার সাথে কুরআন পাকের শিক্ষা ও আদর্শ এবং হযরত মােহাম্মদ (সঃ)-এর পদাঙ্ক অনুসরণেই তিনি এই সুমহান আধ্যাত্মিক মর্যদায় ভূষিত হয়েছেন।বর্তমান যামানায় কলমের ব্যবহার তথা লেখার বিপুল প্রসার ঘটেছে। কিন্তু বড়ই বেদনাদায়ক যে, কলম মানুষের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক অগ্রগতির সহায়ক না হয়ে বরং অবক্ষয়ের পথকে অনেক বেশী প্রশস্ত করে চলেছে। এমনি সময়ে সর্বজ্ঞানী আল্লাহ হযরত মির্যা গােলাম আহমদ (আঃ)-কে ‘সুলতানুল কলম’ (লেখনী সম্রাট) উপাধিতে ভূষিত করেছেন। নিশ্চয়ই তা অযথা নয়। তিনি ৮৮ খানা পুস্তক-পুস্তিকা এবং প্রায় নব্বই হাজার চিঠিপত্র লিখে গেছেন। বস্তুতঃ বিশ্ব নিয়ন্তার নিদেশে পরিচালিত এই 'কলম'ই সর্বপ্রকার অবক্ষয় রােধে সফল হতে পারে এবং হচ্ছেও। হযরত ইমাম মাহদী (আঃ) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত জামাত বিশ্বময় ঐ কলমের অপ্রতিরােধ্য জেহাদই সাফল্যের সাথে পরিচালনা করে যাচ্ছে।উল্লেখ্য যে, ক্ষুরধার কলমের পেছনে মহৎ ব্যক্তিত্ব ও অনাবিল চরিত্রের নিবিড় পরশই একে সরস ও সফল করে তােলে। নতুবা তা শুধু বুদ্ধির ঝলক সৃষ্টি করতে পারে, শুদ্ধির কার্যকর আহবান জানাতে ব্যর্থ হয়। তাই 'সুলতানুল কলমের’ শুধু কলমের সাথেই নয়, তার জীবনের সাথেও পরিচিত হওয়া আমাদের জন্য একান্ত প্রয়ােজন।