বারাহীনে আহমদীয়া - ১ম ও ২য় খন্ড

Ahmadiyya Muslim Jama'at, Bangladesh.
3.0
6 reviews
Ebook
152
Pages
Eligible

About this ebook

এর পুরো নাম ‘আলবারাহীনুল আহমদীয়াহ্‌ আলা হাক্কীয়্যতে কিতাবিল্লাহীল কুরআনে ওয়ান্‌ নবুয়্যাতীল মুহাম্মদীয়াহ্‌’ অর্থাৎ,  

‘মহান আল্লাহ্‌র পবিত্র বাণী আল-কুরআন ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)- এর সত্যতার সপক্ষে উৎকৃষ্ট প্রমাণাদি ও অকাট্য যুক্তি’

‘বারাহীনে আহমদীয়া’ গ্রন্থটির ১ম ও ২য় খণ্ড ১৮৮০ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম বার প্রকাশ করা হয়।

গ্রন্থের শুরুতেই মির্যা গোলাম আহমদ (আ.) অস্বীকারকারী বিরোধীদের সামনে ইসলামের সত্যতা প্রতিপন্ন করে ১০ হাজার রুপি (পুরস্কার) প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

তিনি (আ.) বলেন, “হে ইসলামের অস্বীকারকারীগণ! যদি এখনও কুরআনের সত্যতা সম্পর্কে আপনাদের কোন আপত্তি থাকে বা এর শ্রেষ্ঠত্ব মেনে নিতে যদি কোনরূপ দ্বিধা থাকে তাহলে আপনাদের স্ব স্ব ধর্মগ্রন্থ হতে যুক্তির ভিত্তিতে এর উত্তর প্রদান করা আপনাদের জন্য আবশ্যক। নতুবা আপনারা জানেন আর সকল ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তিও জানে, যে গ্রন্থের সত্যতা ও শ্রেষ্ঠত্ব শত শত যুক্তির মানদণ্ডে প্রমাণিত, এর প্রতিষ্ঠিত এসব প্রমাণাদি খণ্ডন না করে আর পরাকাষ্ঠায় এর সমমর্যাদার গ্রন্থ উপস্থাপন করা, এমন একটি অন্যায় কাজ যা লজ্জাবোধ ও পবিত্র চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের সম্পূর্ণভাবে পরিপন্থী।”



বারাহীনে আহমদীয়া গ্রন্থে তিনি (আ.) মুহাম্মদ (সা.) এর শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, “এখন আকাশের নীচে কেবল একজনই নবী এবং একটিই ঐশী গ্রন্থ বিদ্যমান অর্থাৎ হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম), যিনি সকল নবীর চেয়ে বেশী মর্যাদাশীল ও শ্রেষ্ঠ, আর সব রসূলের চেয়ে অধিক সম্পূর্ণ । যিনি হলেন, খাতামুন নবীঈন ও মানবশ্রেষ্ঠ। যাঁর অনুসরণে খোদাপ্রাপ্তি ঘটে আর আঁধাররাজি দূরীভূত হয় আর এই জগতেই সত্যিকার নাজাত লাভের লক্ষণাবলী প্রকাশিত হয়। আর কুরআন শরীফ হলো, খাঁটি ও পরিপূর্ণ পথ-নির্দেশনা ও পবিত্রকরণ প্রভাবে ভরপুর, যার মাধ্যমে সত্যিকারের জ্ঞান ও তত্ত্ব লাভ হয় এবং মানবীয় দুর্বলতা থেকে মন পবিত্র হয় এবং মানুষ অজ্ঞতা, ঔদাসীন্য, সন্দেহের বাতাবরণ থেকে নিষ্কৃতি লাভ করে হাক্কুল ইয়াকীন (বা দৃঢ় বিশ্বাস)-এর পর্যায়ে উপনীত হয়।



এ পুস্তক রচনার উদ্দেশ্য সম্পর্কে হযরত ইমাম মাহদী (আ.) বলেন, ‘সকল সত্যান্বেষীর যেন স্মরণ থাকে যে, ‘আলবারাহীনুল আহমদীয়াহ্‌ আলা হাক্কীয়্যতে কিতাবিল্লাহীল কুরআনে ওয়ান্‌ নবুয়্যাতীল মুহাম্মদীয়াহ্‌’ নামক গ্রন্থ রচনার উদ্দেশ্য হলো ইসলাম ধর্মের সত্যতা প্রমাণ, কুরআন করীমের সত্যতার অনুকূলে যুক্তি প্রদান এবং হযরত খাতামুল আম্বিয়া (সা.)-এর রিসালতের সত্যতার প্রমাণ সবার সামনে স্পষ্টভাবে উপস্থাপন। এছাড়া, যুক্তি প্রমাণে দৃঢ় এই ধর্ম, এই পবিত্র গ্রন্থ এবং এই মনোনীত নবীকে যারা অস্বীকার করে, তাদেরকে উৎকৃষ্ট ও যুক্তিনির্ভর প্রমাণাদির মাধ্যমে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো ও নির্বাক করে দেয়া, যেন ভবিষ্যতে তারা ইসলামের বিরুদ্ধে মুখ খোলার ধৃষ্টতা না দেখায়।’



বারাহীনে আহমদীয়া’র মোট পাঁচটি খণ্ড রয়েছে। ২৩ খন্ডে প্রকাশিত রূহানী খাযায়েন-এর প্রথম খণ্ডে রয়েছে বারাহীনে আহমদীয়ার প্রথম চার খণ্ড আর পঞ্চম খণ্ডটি রয়েছে একুশতম খণ্ডে।



বহুল প্রতিক্ষিত এ পুস্তক, যা প্রতিশ্রুত মসীহ্‌ ও ইমাম মাহদী হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (আ.) তাঁর দাবির পূর্বেই রচনা করেছিলেন এবং যেই পুস্তক সম্পর্কে সেই যুগের ভারতবর্ষে বহু মানুষ স্বতঃস্ফুর্ত এ সাক্ষ্য এমন অসাধারণ সেবা প্রদান কারো পক্ষে সম্ভব হয় নি, যা এ পুস্তকের মহান লেখক করে দেখিয়েছেন।

Ratings and reviews

3.0
6 reviews
Din Islam
February 3, 2020
ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ পাক, অবশ্যই কাদিয়ানিকে এবং তার সঙ্গের সব কয়টাকে জাহান্নামে ফেলবেন কোরআন এর অপব্যাখ্যা আর মাহদি দাবিতে বিশ্বাস করার কারনে। আল্লাহ তায়ালা কে ভয় করুন । ইসলাম শুধু ভারত আর বাংলাদেশের জন্য না, ইসলাম ধর্ম সমগ্র বিশ্বের মানুষ আর জীনদের জন্য ।যদি এই সাধারণ কথা বুঝে না আসে তাহলে বুঝতে হবে তোমার মাথায় মগজ নেই আছে টয়লেট শরীরে রক্ত নেই তোমার, আছে পূঁজ! তোমরা জেনে রাখ ইমাম মাহদি আসবে নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বংশধর থেকে।
3 people found this review helpful
Did you find this helpful?
Jahid
June 2, 2019
ভণ্ডামি
1 person found this review helpful
Did you find this helpful?
Habib
November 24, 2020
ভণ্ডামি
Did you find this helpful?

About the author

  প্রতিশ্রুত মসীহ ও ইমাম মাহদী হযরত মির্যা গোলাম আহমদ (আ.) ১৮৩৫ সনে ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের কাদিয়ান নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আজীবন পবিত্র কুরআন-এর গবেষণা ও মাহাত্ম অনুসন্ধান, দোয়া ও একান্ত ধর্মপরায়ণ জীবন যাপন করেন। চারদিক হতে ইসলামের বিরুদ্ধে নোংরা অপবাদ, আক্রমণ, মুসলমানদের চরম অবনতি, নিজ ধর্ম-বিশ্বাসে সন্দেহ-সংশয় ও নামমাত্র ধর্ম পালন ইত্যাদি অবলোকন করে তিনি ইসলামের যথার্থ ও পরিপূর্ণ রূপ প্রকাশের কাজে আত্মনিয়োগ করেন। তাঁর বিশাল রচনাসমগ্র (প্রায় ৮৮টি পুস্তক) বক্তৃতা, আলোচনা, ধর্মীয় বিতর্ক (বাহাস) প্রভৃতিতে তিনি অকাট্য যুক্তি উপস্থাপন করে সাব্যস্ত করেন, ইসলাম-ই একমাত্র জীবন্ত ধর্ম এবং একমাত্র এরই বিশ্বাসসমূহ ধারণ ও পালন করার মাধ্যমে মানবকূল তার পরম স্রষ্টার সাথে সম্পর্ক ও যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে। পবিত্র কুরআনের শিক্ষা ও ইসলাম ধর্মের বিধি-বিধানই কেবল মানবজাতিকে নৈতিকতা, উন্নততর বুদ্ধিবৃত্তি এবং আধ্যাত্মিকতার স্বর্ণশিখরে পৌঁছাতে পারে। তিনি  ঘোষণা করেন- কুরআন, বাইবেল ও হাদীসের ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী মহান আল্লাহ্ তাআলা তাঁকে মসীহ্ ও মাহ্দী হিসেবে নিযুক্ত করেছেন। ঐশী আদেশে ১৮৮৯ সন হতে তিনি তাঁর হাতে সকলকে একত্র হওয়ার জন্য বয়া’ত গ্রহণ করা শুরু করেন যা এখন বিশ্বের ২০৪টি দেশজুড়ে কোটি কোটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে গেছে। ১৯০৮ সনে প্রতিশ্রুত হযরত মসীহ্ মাওউদ (আ.)-এর মৃত্যুর পর হাজীউল হারমাইন হযরত মাওলানা হেকীম নুরুদ্দীন (রা.) খলীফাতুল মসীহ্ আউয়াল বা প্রথম খলীফা নির্বাচিত হয়ে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন।

১৯১৪ সনে খলীফাতুল মসীহ আউয়াল-এর মৃত্যুর পর হযরত মসীহ্ মাওউদ ও ইমাম মাহদী (আ.)-এর প্রতিশ্রুত পুত্র হযরত আলহাজ্জ মির্যা বশীরুদ্দীন মাহমুদ আহমদ (রা.) দ্বিতীয় খলীফা নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। হযরত মির্যা বশীরুদ্দীন মাহমুদ আহমদ (রা.) প্রায় ৫২ বছর খলীফাতুল মসীহ্ হিসেবে তাঁর কার্যক্রম চালিয়ে যান। ১৯৬৫ সনে তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর বড় পুত্র ও ইমাম মাহ্দীর প্রতিশ্রুত পৌত্র হযরত মির্যা নাসের আহমদ (রাহে.) খলীফা নির্বাচিত হন। প্রায় ১৭ বছর জামা’তের অভূতপূর্ব সেবা করার পর ১৯৮২ সনে তাঁর তিরোধান হয়। এরপর তাঁর ছোট ভাই হযরত মির্যা তাহের আহমদ (রাহে.) খলীফা নির্বাচিত হন। ১৯শে এপ্রিল ২০০৩ সন মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত খলীফাতুল মসীহ্ রাবে হযরত মির্যা তাহের আহমদ (রাহে.) জামা’তকে বিশ্বময় ব্যাপক পরিচিতি ও বর্তমানের শক্তিশালী অবস্থায় আনার ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব প্রদান করেন। হযরত মির্যা মাসরূর আহমদ, খলীফাতুল মসীহ্ আল খামেস (আই.) আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের পঞ্চম খলীফা, আধ্যাত্মিক পিতা ও প্রধান হিসেবে বর্তমানে নেতৃত্ব দান করে চলেছেন এবং তিনি প্রতিশ্রুত মসীহ্ (আ.)-এর আধ্যাত্মিক আশিস লাভকারী এক সৌভাগ্যবান প্রপৌত্র।

Rate this ebook

Tell us what you think.

Reading information

Smartphones and tablets
Install the Google Play Books app for Android and iPad/iPhone. It syncs automatically with your account and allows you to read online or offline wherever you are.
Laptops and computers
You can listen to audiobooks purchased on Google Play using your computer's web browser.
eReaders and other devices
To read on e-ink devices like Kobo eReaders, you'll need to download a file and transfer it to your device. Follow the detailed Help Center instructions to transfer the files to supported eReaders.

More by হযরত মির্যা গোলাম আহ্‌মদ (আ:), প্রতিশ্রুত মসীহ্ ও ইমাম মাহদী / Hazrat Mirza Ghulam Ahmad (as), the Promised Messiah and Mahdi

Similar ebooks