ভুলে তিন গোত্রের তিনজন এক হয়েছিলেন যুদ্ধের ময়দানে।
জীবন মরণের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে এই যে বন্ধুত্বের শুরু
যুদ্ধশেষেই কি তার সমাপ্তি? যুদ্ধের কি আসলে কোনও শেষ
আছে? জগত সংসারের উন্মুক্ত আয়োজনে তিন বন্ধু এখন
নবীন সৈনিক। আর জীবনযুদ্ধের এই সৈনিকদের কাছে জয়
পরাজয়ের সংজ্ঞাটা বড়োই ধোঁঁয়াটে। তর্কগুলো শেষাবধি
অর্থহীন। পলায়ন নয়, বরং জীবনের কাছে আত্মসমর্পণেই
বুঝি শোভন সমাপ্তি। নিশানার সন্ধান আর পথপরিক্রমায়
তাঁরা এখন তীর্থযাত্রী। অথচ কেউই জানে না কোথায় এর
শেষ। মত ও পথের মিলন হবে কি অবশেষে? এইসব
এলোমেলো কথাগুলোই উঠে এসেছে তীর্থযাত্রী তিনজন
তার্কিক সিরিজে।
তিন চরিত্র নেপথ্যেই থাকেন বেশিরভাগ সময়। তর্কের
জোগানটাই মূল উপাত্ত। যুক্তি আর বিশ্বাসের সংঘাত মাঝে
মাঝে প্রকট হয়ে ওঠে। বোধের জানালাটা তখন হঠাৎ করেই
যেন খুলে যায়। পাঠককে প্রলুব্ধ করে পাশে এসে উঁকি দিতে।
কী দেখা যায় জানালার ওইপাশে?
গুচ্ছলেখা। গল্পও নয়। কবিতাও নয়। আবার হয়তো দুটোরই
উপাদান। লেখার পরতে পরতে আছে পথচলার কাহিনি।
পথনির্দেশ নেই। প্রয়োজনে পাঠক নিজেই তা তৈরি করে
নেবেন নিজের মতো করে।